About Us

Kamarpukur Ramakrishna Mission School Alumni Association

We are what our thoughts have made us; so take care about what you think. Words are secondary. Thoughts live; they travel far

Swami Vivekananda

কামারপুকুরে লাহাবাবুদের দুর্গামণ্ডপের সামনে যে টিনের আটচালা আছে, যেখানে একদিন বালক গদাধর পড়েছিলেন, সেই পাঠশালা প্রবহমান কালের যাত্রা অতিক্রম করে আজকের মহীরুহ কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন বহুমুখী বিদ্যালয়। গদাধর পাঠশালার পরিচালন ভার রামকৃষ্ণ মিশন গ্রহণ করেছিল ১৯৪৭ খ্রীঃ। যুগী শিব মন্দিরের উত্তরদিকে হালদার পুকুরের পাড়ে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় সংলগ্ন একটি মাটির বাড়িতে এই স্কুল কয়েক বছর চলেছিল। পরবর্তীতে এই স্কুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় হিসেবে সরে আসে বর্তমান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ১৯৬২ খ্রীঃ তে রামকৃষ্ণ মিশন বহুমুখী বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়। যুগ মানব শ্রীশ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ, মতবাদ, চিন্তাধারা ও বাণীকে পাথেয় করে এই পথ চলা আজও সমুজ্জ্বল। একটা বিদ্যায়তন মানে তো আর নিছক কিছু ইমারতের সমাহার নয় – একটি বিদ্যায়তন মানে দুর্বার ধারায় প্রবহমান এক জলতরঙ্গ।  একটি বিদ্যায়তন মানে সারণী বেয়ে গড়িয়ে আসা একরাশ স্মৃতি। একটি বিদ্যায়তন মানে সৃষ্টির আদিম যুগে প্রমিথিউসের আগুন চুরি করে আনার মত অপার বিস্ময়। একটি বিদ্যায়তন মানে শিক্ষালাভ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে অর্জিত জ্ঞানকে আদর্শের প্রসারের জন্য কার্যকরী করা। আমরা অন্বেষণ করলাম আলোকবর্তিকার। আমরা নিবিড় তমসার গভীরে খুঁজে পেলাম আলোর রেখা। কিন্তু সেই আলো খুঁজে পেয়েই বা আমাদের কী লাভ হল যদি না তা  আরও অনেকজনকে অন্ধকার থেকে আলোকের ঝর্নাধারায় সুস্নাত করাতে পারলো? সেই আলোকের সন্ধানে, সেই আগুনের সন্ধানে শুরু হয়েছিল আরেকটা পথ চলার। শ্রীশ্রী ঠাকুর, মা ও স্বামীজীর আদর্শকে সামনে রেখে গড়ে উঠল একটি প্রয়াস Kamarpukur Ramakrishna Mission School Alumni Association – সংক্ষেপে KRMSAA ( করমজা ) ! অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়া বছরগুলিতে একদল নবীন ছাত্র যেমন আসে বিদ্যায়তনে, তেমন ই একদল আবার বিদায়ও নেয়। কালের ধারা প্রবাহিত হয় তার নিজের নিয়মেই। কিন্তু বিদ্যায়তনের এর পাঠ শেষ হয়ে গেলেই সবার মন থেকে বিদ্যালয়টি অন্তর্হিত হয়ে যায় না। সেইরকম কয়েকজন প্রাক্তনীরা  মিলেই  গড়ে তুলেছে এই সংগঠন। আসলে একটা চিন্তা। একটা সুন্দর চিন্তা। যে চিন্তা মানবতার দিকে এক পা  এগিয়ে যাওয়ার। সেই চিন্তাকে পাথেয় করে গড়ে উঠেছে এই সংগঠন। বিদ্যায়তনের প্রাক্তনীদের সমবেত হওয়াই শুধু কাম্য ছিল তাই নয়; অন্য আরেকটি বাসনাও সংযুক্ত হয়েছে। আর তা হোলো –  মানুষের মঙ্গলকামনায় কিছু কাজ করা। একটা স্বাস্থ্য শিবির, তাও আবার বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ব্যতিরেকে,  কী কাজে লাগে? হাজার হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে দু এক জন মানুষকে তার জীবনের গভীর সঙ্কটের সময়ে সামান্য অর্থমূল্য দান, কী উপকারে লাগবে? গভীর গ্রীষ্মের দহনকাল পেরিয়ে আসার পর একদিন খুব ভোরে ঘুম ভেঙে কেউ দেখল সমস্ত আকাশ জুড়ে কৃষ্ণ মেঘের সঞ্চার হয়েছে আর পরক্ষনেই বাদলের একটি ফোঁটা মায়াবী বাতাসে ভাসতে ভাসতে তার মুখমণ্ডলে নেমে এলো। একটা মাত্র বৃষ্টির ফোঁটা। কিন্তু মানুষটি বুঝতে পারলো মৃত্তিকা এখন জাগরণ চাইছে। এখন মৃত্তিকার গভীরে প্রোথিত করতে হবে সুপ্ত বীজগুলিকে। ফসল উঠলে বাড়ির মানুষগুলির মুখে হাসি ফিরবে। ছোট্ট একটা মাত্র হাসির রেখা কতটা প্রয়োজনীয় হতে পারে মানুষের জীবনে? আমরা সবাই জানি ঠিক কতটা। ঠিক সেই কাজটুকুই করার চেষ্টা করে চলেছে KRMSAA—-